Part Time Jobs For Students: পড়াশোনা করার পাশাপাশি রোজগারের ইচ্ছে কম বয়স থেকেই থাকাটা বেশ ভালো। ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন সকলেরই কম বেশি থাকে। কিন্তু পড়াশোনা চলাকালীন যদি হাতে কিছু অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে পড়াশোনার খরচ নিজেই চালিয়ে নেওয়া যায়। এমন মনোভাবের মানুষ নেহাত কম নয়। তাই পড়াশোনা করার সঙ্গে সঙ্গে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা কিনা বাড়িতে বসেই করা সম্ভব। সেই কাজ থেকে মাস গেলে মিলবে ভালো স্যালারিও। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
প্রাইভেট টিউশন পড়ানো: পড়াশোনা লেখালেন প্রাইভেট টিউশন পরিয়ে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে প্রথমেই যে বিরাট অংকের টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে এমনটা ভেবে নেওয়া ভুল। প্রথমে একজন প্রাইভেট টিউটর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন। প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশন পড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে ইনকাম হবে খুব বেশি হলে ৫০০ থেকে হাজার টাকা। যখন আপনার কাছে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীরা ভালো রেজাল্ট করে উঁচু ক্লাসে উঠবে তখন থেকেই আপনার প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করবে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা আপনাদের উপর ভরসা করবে এবং তাদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের আপনার টিউশনেই পড়াশোনা করতে পাঠাবে। একজন দুজন স্টুডেন্ট থেকে আপনি তখন বেশ কয়েকজনের একটি ব্যাচ তৈরি করে করাতে পারবেন।তখন আপনার ইনকাম কখন ৫০০ কিংবা হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে, বুঝতেও পারবেন না। মোদ্দা কথা হল নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে দেখাতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং করে বহু ছাত্র ছাত্রীর মোটা অংকের টাকা উপার্জন করে থাকে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তিল থাকার কোন প্রয়োজন নেই। হতে পারে আপনি ভাল ফটো এডিট করতে পারেন কিংবা ভালো ভিডিও এডিট করতে পারেন। ইংলিশ থেকে হিন্দিতে কিংবা হিন্দি থেকে ইংলিশ অথবা বাংলায় ট্রান্সলেট করে লেখালেখি, ফেসবুক ইউটিউব মার্কেটিং, ভিডিও শুট বা ফটোশুট করতে পারেন তাহলে কিন্তু এই কাজগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। এছাড়াও ডাটা এন্ট্রির কাজ থেকেও মোটা টাকা ইনকাম করা যায়। তার জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে গিয়ে নিজের প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর সেখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ দেবেন। সেই কাজ করতে পারলে প্রতিদিন ১০০ ডলার উপার্জন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং: অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট সহ এমন বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে ঘরে বসে কাজ করে উপার্জন করা সম্ভব। তবে তার আগে সেখানে একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে কোন একটি প্রোডাক্ট আপনি যদি আপনার বন্ধুকে শেয়ার করেন এবং আপনার সেই বন্ধু যদি ওই প্রোডাক্ট আপনার দেওয়া লিঙ্ক থেকেই ক্রয় করে তবে আপনি সেখান থেকে কিছু কমিশন পাবেন, কোম্পানি আপনাকে সেই কমিশন দেবে। তাই প্রোডাক্টের দাম যত বাড়বে আপনার কমিশনও বাড়বে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ | Join Group |
আমাদের টেলিগ্রাম | Join Here |
অন্যান্য চাকরির আপডেট | View More |